বুখারী মসজিদ
প্রতিষ্টা কাল ০১-০৩-২০০৭ইং
হযরত শাহ সুলতান (পুরোনাম শাহ সুলতান কমরুদ্দিন রুমী) (রহঃ)ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে তুরস্ক থেকে ভারতবর্ষে আসেন ১০৫৩ সালে। তিনি ছিলেন তুস্কের বিখ্যাত সেলজুক রাজ পরিবারের সন্তান। তার আপন বড় ভাই শাহ মালীক ছিলেন তুরস্কের সম্রাট। শাহ সুলতানও ছিলেন একটি তুর্কি প্রদেশের গভর্নর। খুব ধর্ম পরায়ন ছিলেন বলে রাজ কার্যে তার মনে বসেনি। ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি গৃহত্যগী হয়ে চলে আসেন ভারতবর্ষে। অবশেষে স্থায়ী ভাবে বসতী স্থাপন করেন নেত্রকোণা জেলা শহর থেকে ৮ কিলো মিটার দক্ষিনে মদন পুর নামক স্থানে। যেখানে তাহার মাজারশরীফ বিদ্যমান। বার জন আউলিয়া সহ বহু লোক লস্কর নিয়ে এসেছিলেন তার সঙ্গে। আউলিয়াদের মধ্যে একজন ছিলেন শাহসুলতানের আপন বড়বোনের ছেলে তার নাম হযরত সৈয়দ ফজলে বুখারী (রহঃ) । শাহ সুলতানের নির্দেশে ইসলাম প্রচারের জন্য তিনি চলে আসেন কংস নদীর উত্তর অঞ্চলে। তিনিই সর্ব প্রথম ব্যক্তি যিনি এতদ অঞ্চলের মানুষের জন্য নিয়ে এসেছিলেন ইসলামের অমৃত বানী। হাজার বছর পূর্বে সূফী সাধক সূদুর তুরস্ক থেকে এসে আজান দিয়ে এখানে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। তার নামটি ইতিহাসের পাতায় চির স্বরনীয় করে রাখার জন্য কাতার চ্যারেটি নামক একটি বিদেশী প্রতিষ্টানের সহায়তায় এবং আলহাজ্ব ফকির আশরাফের উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় নির্মিত এই সূদৃশ্য মসজিদের নাম রাখা হয় বুখারী মসজিদ । ১০৮ বছর বেচে থাকার পর ইন্তেকাল করেন হযরত বুখারী (রহঃ)। তাকে সামাধীস্থ করা হয় কংশ নদীর উত্তর তীরে। কালের বিবর্তনে তার মাজার শরীফ বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে। তার কবর স্থান চিহ্নিত করা সম্ভব নয় বর্তমান কালে। ফকির বাড়ী সহ এ অঞ্চলের বহু মানুষ হযরত সৈয়দ ফজলে বুখারীর বংশ ধর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস